Saturday, February 23, 2019

কবিতা : প্রাণদেবতা

(১)
ভেবেছি একলা বিদায়ের বেলা
কী দেখেছি আর কী আছে বাকি
এই মনে হয় সবকিছু আছে, এই মনে হয় ফাঁকি।

কোথায় সে যাবে এই পৃথিবী কেমন হবে শেষ দিন
কত শত পথ বানাবে মানুষ কত পথ হবে লীন
এক নেভাতেই হবে কি শেষ আমার প্রবল বাসনা
তোমাদের সাথে দেবনা কি পাড়ি সেই সুদূরের নিশানা
চাপা পড়ে কি থাকব আমি  সময়েরই মাঝপথে
অতল ধুলায় হারাব কি আমি রব না কি মোটে সাথে।

এসব কথা জাগে মনে আজ ক্ষণে ক্ষণে সারাদিন
এক জীবনেই হবে কি শেষ রইবে পড়ে আস্ত দিন
মহাকালেরই একটি ফোঁটা সেই কি সময় আমার
কত যে দেখার থাকবে বাকি কত রূপ সেই তাহার।

যত দেখি এই আলো আর আকাশ রাতের জোছনা
আমার বাড়ির সম্মুখ পথ আমার ঘরের বিছানা
মন বলে যেন না হারায় সব থাকে যেন চোখে লেগে
এই যে গ্রাম এই কলরব যদি না আর উঠি জেগে।

ফুরাতে বসা সময়ে বসে ভাবি কেন সব ফাঁকি
তখনই কেএক উঁকি দিয়ে  বলে মেল দেখি মনআঁখি
দেখতে পাবি মহাপ্রাণ এক চিরকাল বহমান
ফুটিয়ে তোরে গায়ের পরে হয়েছে আয়ুষ্মান
তোরে দিয়ে সে নিচ্ছে শুষে জীবনের আনন্দ
তোর যা আছে হচ্ছে তার সকলই হিসাব মতো
আমি আমি করে পাসনে দুঃখ মহাআমি সে সেই
হারাসনে তুই ফুটিস আবার নতুনে তার গায়েতেই
প্রকৃতি তারে নিজেকে জানাতে দিয়েছে বাঁচার পথ
চড়ে চড়ে সে বেড়ায় অশেষ আনন্দেরই রথ
তোর যা আছে নিয়ে সব সে চলেছে চির অম্লান
আনন্দ নে দুঃখে সুখে যপ তোর সে দেবতা প্রাণ

(২৩/০২/২০১৯-দক্ষিনশ্রীপুর)

(২)
 (গান)
দান তার খুঁজে নিতে হয়
ছড়িয়ে রেখেছে বিশ্বময়।

দানের মাঝে আছে রাখা
তার হাতের পরশ ঢাকা
আড়ালে আমার বসে থেকে
পথে পথে যাচ্ছে হেঁকে
দানের কাছে ডেকে নিতে
দেখা তার তাতেই দিতে
সে যে দয়াময়।

(২৪/০২/২০১৯/ সাতক্ষীরা)

No comments:

Post a Comment