আমাদের গ্রামে চৈতালী সন্ধ্যায়
যে মাঠ ঘুমায় তার মাথায়
কলারপাতার ঘোমটা সরিয়ে
চাঁদ ওঠে আলো ছড়িয়ে
তখন আকাশটা যে কেমন, যেন বুক খোলা
দূরের কোন আলো এসে সেখানে দেয় দোলা
দুয়েকটি তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবে
শূন্য জড়িয়ে একেবারে নীরবে
চেয়ে থাকে চেয়ে থাকে চেয়ে থাকে
কারে দেখে? হয়তো সেই জানে যারে দেখে
আমি কী আর জানি তা।
শুধু জানি, শুকনো কুঁড়ি শুকনো পাতা
মাড়ানো পেষানো থ্যাতলানো-সারাদিন যাদের দেয় ফেলে
পুষে রাখা গন্ধ হঠাৎ তারা দেয় ঢেলে
সে কী মৃদু সে কী মন্দ, তবু অধীর আকুল তার ছন্দ
ভেঙেচুরে ঢুকে পড়ে আমার ভেতরে
সে কী র্স্বগীয় না অন্য কিছু খুঁজে মরি অন্তরে
তার পর অবশ, স্থীর, বিমূড় আমি দেখি
মহাবিশ্বের মতো অচল চলিষ্ণু হয়ে থাকি
উঠোনের পরে শুকনো পাতা হয়ে
তখন একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে
আমারও কি গন্ধ বের হয়
আমার গন্ধ কি কেউ টের পায়
এই গ্রামে, এই চৈতালী সন্ধ্যায়।
(১৯/০৩/২০২২, দক্ষিণশ্রীপুর)