আমাকে দুদন্ড ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের ওপর যখন দাঁড় করালে
তখন তোমার চেহারাটা কেমন ছিল?
তোমার চেহারাটা ছিল এমন―
যেন কেউ নিরীহ একটা বিড়ালকে জোর করে জলের মধ্যে চুবিয়ে রেখেছে।
ঠান্ডার মধ্যে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া ছিল,
আকাশে চাঁদ উঠব উঠব করছিল
শহরের ব্যস্ত মানুষেরা আমাদেরকে দেখছিল
কেউ ভাবছিল―তুমি আমি প্রেমিক-প্রেমিকা
কেউ ভাবছিল–অন্যকিছু
কেউ ভান ধরে তোমার কথা শোনার চেষ্টা করছিল
শুধু আমিই তোমার অমন চেহারা দেখছিলাম।
তুমি চি চি করে বলে যাচ্ছিলে–
তোমার বিয়ের ঠিক হয়েছিল
আমার জন্য সে সুযোগ হাত-ছাড়া হয়েছে,
আমি শুনছিলাম, আর এখন দেখছি–
আমার হৃদয়-গৃহে যে তুমি ছিলে রানীর মত
আমার বক্ষতলে যে তুমি ছিলে সতেজ লতার মত,
অশুভ এক বাণ তোমার চেহারাটাকে ক্ষত-বিক্ষত করছে
আমার ভেতরে
আমি দেখছি
চার দেওয়াল হয়ে আমি শুধু দেখছি
আমার হৃদয়-গৃহে তোমার সুললিত চেহারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
আমি তোমাকে রক্ষা করতে পারছি না
তোমার প্রাণ-বায়ু শেষ হতে চলেছে
আমি শুধু মূঢ় দেওয়াল হয়ে তোমাকে আটকে রেখেছি
ভেঙে লুটিয়ে পড়ার শক্তিও আমার নেই
ঝড় এনে দাও ঝড়
আমি ভেঙে পড়ার অপেক্ষায় রয়েছি
ঝড় এনে দাও
মুক্ত হও, আমায় মুক্ত করো।
(১৩/০১/২০২০; সাতক্ষীরা)